সাতক্ষীরার ভোমরার লক্ষীদাড়ি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় সার্চ লাইট লাগিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সাতক্ষীরার লক্ষীদাড়ী গ্রামের বিপরীতে ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গাছে এসব লাইট বসানো হয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের অভিযোগ, লাইট লাগনোর সময় বাঁধা দিলেও কর্ণপাত করেনি বিএসএফ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ি গাছে এসব সার্চ লাইট বসিয়েছে বিএসএফ। রাতে যার আলো এসে পড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, এর আগে এখানে কোন লাইট ছিল না। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর থেকে এসব লাইট লাগানো হয়। সাতক্ষীরা সীমান্তের লক্ষিদাড়ী গ্রাম বরাবর জিরো পয়েন্টের কাছে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ২০-২৫ গজ অন্তর অন্তর ধাপে ধাপে বসানো হয়েছে লাইটগুলো। লাইট বসানোর সময় নিষেধ করলে তাতে কর্ণপাত করেনি বিএসএফ। উল্টো হুমকি দিয়েছে আমাদের। রাতে এসব লাইট জ্বালানোর পর সস্পূর্ন আলো এসে পড়ে বাংলাদেশের লক্ষীদাড়ী গ্রামের বসতবাড়ির উপর। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত জ্বলে লাইটগুলো। এতে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা। তাদের প্রশ্ন, ভারতের আলো বাংলাদেশে কেন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিজিবি কর্মকর্তা জানান, লক্ষীদাড়ি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের অংশে অনেক আগে সার্চ লাইট বসিয়েছিল বিএসএফ। কিন্তু পরে সেগুলো খুলে নিয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে কোন লাইট লাগানো হয়নি।
এবিষয়ে জানাতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হকের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।
এবষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, সীমানা লংঘন হলে যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি বিজিবি’র সাথে কথা বলরো। কারন এটাতো এখনই যাচাই করা সম্ভব নয়। যেহেতেু এটি আর্ন্তজাতিক সীমানা। কাজেই কনভেশন এর বাইরে কারো যাওয়ার সুযোগ নাই।
এদিকে গত ১১ জানুয়ারি শনিবার সাতক্ষীরা সীমান্তের কৃষক নজরুল ইসলামের ধান রোপনে বাঁধা দেয় বিএসএফ। এনিয়ে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকেও মেলেনি সমাধান। সীমান্তের জমি নিয়ে বিরোধের এঘটনা আগামী ২০ জানুয়ারি দুই দেশের ভূমি কর্মকর্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মাপজরিপের মাধ্যমে সমাধান হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
খুলনা গেজেট/ টিএ