করপোরেশন পরিচালনায় দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত, টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ, নিরাপদ, নারী-শিশু-প্রতিবন্ধী বান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত নগরীর প্রত্যাশা করেছেন খুলনার নবীন ও প্রবীণ নাগরিকরা। তাই আরো সার্বজনীন ও দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি চান তারা।
খুলনার সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সকালে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘নাগরিক প্রত্যাশা’ সংলাপে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। ‘স্ট্রেংথেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের আহ্বায়ক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা।
সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, নারী নেত্রী রেহেনা ঈশা, অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু, মেহেদী হাসান দিপু, অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন ছন্দা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শুরুতে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে আনভীর শেখ, মিরাজ রহমান শুভ, সাবিনা আক্তার, সিলভী সাকিরা, জয়ব্রত সেন, তিমির মজুমদারসহ অন্যরা খুলনা নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার, নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বান্ধব নগরী, উন্নয়ন কর্মকা-ে জবাবদিহিতা, প্রকল্পে বাস্তবায়নে সমস্যা ও দুর্ভোগের ৪২টি বিষয় তুলে ধরেন। তারা এ সকল সমস্যা সমাধানে জনপ্রতিনিধি কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে বক্তারা বলেন, খুলনা অন্যতম প্রাচীন সিটি করপোরেশন। কিন্তু এখানে পরিকল্পিতভাবে কোন কিছু গড়ে উঠেনি। ফলে নাগরিক ভোগান্তি রয়েছে। অধিকাংশ ফুটপথ ব্যবসায়ীদের দখলে। সড়কে যানজট, নারীদের পৃথক পাবলিক টয়লেটের সংকট দীর্ঘদিনের। সংলাপে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের খুলনা বিভাগীয় সিনিয়র ম্যানেজার রুয়ায়েত হাসান ও সিনিয়র কমিউনিকেশনস ম্যানেজার আরাফাত আলী সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/কেডি