খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে
দৈনিক প্রয়োজন চার হাজার ঘনমিটার

সামেক হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ ও অক্সিজেনের চাহিদা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ২৫০টি বেডে কেন্দ্রীয়ভাবে (সেন্ট্রালি) অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ফলে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে দিন দিন অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে সামেক হাসপাতালের চারটি ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২৭৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে করোনা রোগী রয়েছে ২৬ জন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুরুতেই সামেক হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ৯৭টি বেড ছিল। প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বেড সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫০ করা হয়েছে। এই ২৫০টি বেডে ভর্তি রোগীদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে হাসপাতাল থেকে সেন্ট্রালি অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেলে হাসপাতালের বারন্দায়ও রোগী ভর্তি থাকে। এসব রোগীদেরকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়।

সূত্র আরো জানায়, সামেক হাসপাতালের অক্সিজেন ট্যাংকির ধারণ ক্ষমতা ২০ মেট্রিক টন। অরাফপুর থেকে অক্সিজেন লোড দিয়ে ঢাকা হয়ে সাতক্ষীরায় আনা হয়। ট্যাংকি থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে তা প্রত্যেক রোগীর বেডে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সামেক হাসপাতালে এর আগে দৈনিক ২০০০ ঘনমিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হতো। সে সময় এক ট্যাংকি অক্সিজেন প্রায় দুই সপ্তাহ চলে যেত। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনিক প্রায় ৪০০০ ঘনমিটার অক্সিজেন লাগে। সে কারণে এখন প্রতি ২/৩ দিন অন্তর অক্সিজেন ট্যাংকি ভর্তি করতে হচ্ছে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই- খুদা নওরোজ উল্লেখিত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য সামেক হাসপাতালের বেড বাড়িয়ে ৯৭ থেকে ২৫০ করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫০ বেডের সাথে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযুক্ত। এরপরও ২৯ জুন মঙ্গলবার হাসপাতালের ২ তলা থেকে ৫ তলা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে ২৬ জন পজেটিভ রোগীসহ মোট ২৭৪ জন ভর্তি রয়েছে। বাকি ২৪ জন রোগী বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রয়োজন হলে হাসপাতালে থাকা ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে বারান্দায় ভর্তি রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে।

এক প্রশ্নের জবাবে তত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই- খুদা নওরোজ বলেন, সাধারণতঃ কোন রোগী শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসলে অথবা তার অক্সিজেন লেভেল ৯০ এর নিচে হলে সেসব রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে উপসর্গ নিয়ে করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগীদের সবসময় অক্সিজেন সুবিধার প্রয়োজন পড়ে না। যে কারণে বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি সব রোগীদের অক্সিজেন চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!