নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি শহিদুল ইসলাম আল মারকাজুল ইসলামী এএমআই-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মুফতি শহিদুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার মানিকগঞ্জে তিনি মারা যান। জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদে বাদ জুমা তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে কেরানীগঞ্জের বালিদিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন সম্পন্ন হবে।
সাবেক এই এমপির মৃত্যুর খবরে আলেম-ওলামা, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা ছুটে আসেন তার বাসভবন মুহাম্মদপুর বাবর রোড় চত্বরে।
প্রখ্যাত এই আলেমেদ্বীন মুফতি শহিদুল ইসলামের ইন্তেকালে গভীর শোক জ্ঞাপন, তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামের সন্তান মুফতি শহিদুল ইসলাম ১৯৮৮ সালে আল মারকাজুল ইসলামী এএমআই প্রতিষ্ঠা করেন।
২০০১ সালের অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মাত্র ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে ২০০২ সালের উপনির্বাচনে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মুফতি শহীদুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ৪ কণ্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে নড়াইলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি এলাকায় গরীব-দুখি মানুষের সেবায় কাজ করেছিলেন। নড়াইলে মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানা, ডিফ টিউবয়েল স্থাপন করে নড়াইলবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এই জননেতা। তার মৃত্যুতে দেশ-বিদেশে আলেম-ওলামা ও কওমি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস