যশোরে মাদক মামলায় দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে কারাভোগের পরিবর্তে সাত শর্তে বাড়িতে সাজাভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে দুই বছর তাকে শর্তগুলো পালনের পাশাপাশি সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থাকতে হবে।
সোমবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদলতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আজিমন বেগম যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি গ্রামের মনির শেখের স্ত্রী।
আদালতের রায়ে আজিমন বেগমের পালনীয় শর্তগুলো হলো, কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়ানো যাবে না, সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে হবে, সকলের সাথে সদাচরণ করতে হবে, আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে কখনো তলব করলে শাস্তি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যথাস্থানে হাজির হতে হবে। কোনো প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ ও সেবনকারী, বহনকারী এবং হেফাজতকারীর সাথে মেলামেশা বা চলাফেরা করতে পারবেন না। আদালত কর্তৃক সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে নিজের বাসস্থান ও জীবন ধারণের উপায় সম্পর্কে অবহিত করতে হবে এবং দুইবছর প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ব্যতিত নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না।
যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের এপিপি আইয়ুব খান বাবুল জানান, আজিমন বেগমকে ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট বেনাপোলের ত্রিমোনী হরিমালী গেট থেকে দশ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বেনাপোল থানায় মামলা হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি আজিমন বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে রায়ে বৃদ্ধা আজিমন বেগমের সাজা কারাগারে নয়, বাড়িতেই ভোগ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। সাজাভোগের ক্ষেত্রে তাকে দেয়া হয়েছে ওই সাতটি শর্ত।
খুলনা গেজেট/ টি আই