খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দুটি ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধানের ক্ষেতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়–খালী ও ছনকা ব্লকে এই আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়।

ভাড়ুখালী ব্লকে ধান ক্ষেতের পাশে আলোক ফাঁদ স্থাপনকালে উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে ভিডিও কন্সফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তামান্না তাছনীম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারক কুমার বিশ্বাস, ইউপি সদস্য মুতাছিম বিল্লাহ, কৃষক গোলাম মোস্তফা, আব্দুস সামাদ, জিল্লুর রহমান, মনোয়ার হোসেন, আসাদুল ইসলাম, মাজেদা, ফরিদা খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, রাতের বেলা আলোতে অনেক পোকা আকৃষ্ট হয়। আলোকে ফাঁদ ব্যবহার করে উপকারী এবং ক্ষতিকর পাকা সহজ চেনা যায়। আলোতে আকৃষ্ট হয়ে পোকা উড়ে আসবে এবং আলোয় ধাক্কা খেয়ে পানির পাত্রে পড়বে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত আলোক ফাঁদ কার্যকর থাকে। কৃষকরা যদি এ উপায় অবলম্বন করে তবে ধান ক্ষেতে কী ধরনের পোকা আক্রমণ করছে, সে অনুযায়ী কৃষকরা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারে। আলোকে ফাঁদে কখনো ক্ষেতের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। ধান পুষ্ট হলে আর আলোক ফাঁদ প্রয়োজন হয় না। তবে বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণ অব্যাহত থাকলে আলোক ফাঁদ চালিয়ে যেতে হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ফসলের ক্ষেতে ক্ষতকির ও উপকারী পোকা-মাকড় সনাক্ত করণে আলোক ফাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আলোক ফাঁদ পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব হওয়ায় কৃষকের কাছে এ পদ্ধতি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সদর উপজেলায় ১৪ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার মোট ৪৩টি ব্লকে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরা।
খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!