পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনের পৃথক দু’টি স্থানে অবৈধভাবে মাছ ও কাঁকড়া ধরার সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগের সদস্যরা। বুধবার ( ১৩ অক্টোবর) রাতে সুন্দরবনের দোবেকি বন টহল ফাঁড়ি এলাকার ভাইটব খাল ও রায়মঙ্গল নদী সংযুক্ত ছায়া নদীর মুখ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি ফাঁস জালসংযুক্ত নৌকা, কল জাল ও খাল পাটা জাল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত জেলেরা হলো, খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা জাহিদুল মোল্লা (৩৮), আজিজুল ইসলাম (২৪), কামরুল ইসলাম (৪২), কবির হোসেন (৪৫), শাজাহান সানা (৩৩), শরিফুল ইসলাম (২৮), এনামুল মোল্লা (২৮) ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের আব্দুল জলিল (৪২), রাশিদুল ইসলাম (৩৬), তাপস গাইন (৪৮) ও সোরা গ্রামের জহুর আলী (৫৫)।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, সুন্দরবনের দোবেকি এলাকার ভাইটব খালের নিষিদ্ধ অভয়ারণ্য ঢুকে জেলেরা খালপাটা জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগের বোবেকি বন টহল ফাঁড়ির সদস্যরা বুধবার রাতে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় ওই এলাকা থেকে নৌকা, অতিরিক্ত ফাঁস জাল, কল জাল ও খাল পাটা জালসহ সাত জেলেকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা সবাই খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে বুধবার রাতে অপর এক অভিযানে সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদী সংযুক্ত ছায়া নদীর মুখ থেকে অবৈধভাবে মাছ ও কাঁকড়া আহরণের সময় আরও চারজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকেও জাল সম্মৃদ্ধ একটি নৌকা আটক করা হয়। রাতেই আটককৃতদের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।
সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের (স্টেশন অফিসার) এসও সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত কওে বলেন, আটক জেলেদেও নামে বন আইনে মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগাওে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ