সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে উপজেলা কমিটির এক মতবিনিময় সভা শনিবার সকাল ১১টায় পুরাতন আইনজীবী ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা ভূমিহীন সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক আবু আহমেদ। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু।
বক্তব্য রাখেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির উপদেষ্টা আলহাজ্ব ওহাব আলী সরদার, সহ-সভাপতি গোলাম রসূল, আবেদার রহমান, আব্দুস সাত্তার, শওকত আলী, হাফিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, রহমত আলী, শাহজাহান আলী ছোট বাবু, পৌর শাখার সভাপতি হাসান মাহমুদ ক্যাপটেন, নাজমা খাতুন, খাদিজা খাতুন, শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি মোকছেদ আলী, কালিগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মোশাররফ হোসেন, দেবহাটার সভাপতি আব্দুল গফফার, সদর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, কলারোয়ার শেখ আনছার আলী, তালা-পাটকেলঘাটার সভাপতি আদিত্য, আশাশুনি উপজেলার ভ‚মিহীন নেত্রী মারুফা খাতুন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে অসহায় ব্যক্তিদের জন্য প্রায় ৯ লক্ষ গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় সিদ্ধান্ত। তিনি ১৯৯৮ সালে সাতক্ষীরায় এসে খাস জমি ভূমিহীন মধ্যে বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে মোতাবেক অংশিক দেওয়া হলেও কতিপয় আমলাদের কারণে তারা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি। অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, ভূমিহীনদের অধিকায় আদায়ে আমরা এক অবিচ্ছিন্ন। ভূমিহীনদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সময়েও জেলার বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুরা খাস জমি ভোগদখলে আছেন। অথচ প্রকৃত ভূমিহীনরা বসবাসের মত জায়গা পাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত দিতে হবে। সম্প্রতি খাল ধার থেকে উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনদের পূর্ণবাসনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তারা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উত্তরণ নামের একটি এনজিও নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন কমিটি তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। তারা কতিপয় ভূমিহীন নামধারীদের নিয়ে প্রকৃত ভূমিহীনদের বঞ্চিত করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। একই সাথে ভূমিহীনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। তারা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে এনজিও সব সময় ভূমিহীন অসহায় মানুষদের সামনে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করে। তারা কখনো গরিব মানুষের স্বার্থে কাজ করে না। ওই সংস্থাটি কখনোই ভূমিহীনদের উন্নয়নে কাজ করে না। তারা ভূমিহীনদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় ও বাণিজ্য করে।
উত্তরণ সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মাননীয় প্রধামন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে উলেখ করে বক্তারা অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে জেলা শহরে মিছিল, মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারী দেন।
খুলনা গেজেট/ এম কে