সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে এক যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ জুলাই)।সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আবদুল আলিম আল রাজী একজনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন। রায় প্রদানের সময় অসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মোঃ আব্দুর রহমান (২০)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের মোঃ আলতাপ হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে কলারোয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সানজিদা হোসেন সুজোতি (১৩) এর সাথে একই গ্রামের আলতাপ হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুর রহমানের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। বিগত ২০২২ সালের ২৭ মার্চ রাতে আব্দুর রহমান সুজোতির মোবাইলে রিং করলে তার ফোন ব্যস্ত দেখায়। সে অন্য কারোর সাথে কথা বলছে এই সন্দেহে পরে রাত ৮টার দিকে আব্দুর রহমান ফোন করে সুজোতিকে বাড়ির বাইরে ডেকে আনে। সুজোতি বাড়ির বাইরে আসলে তার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ প্রতিবেশীর বাড়ির কাছে ড্রেনে মধ্যে ফেলে রেখে যায় পালিয়ে যায় আব্দুর রহমান। রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে সুজোতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাত ৯টার দিকে তাদের এক প্রতিবেশীর বাড়ির পাশে ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনার পরদিন ২৮ মার্চ নিহতের মা লায়লা পারভীন বাদী হয়ে আব্দুর রহমানকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপ পরিদর্শক সোহরাব হোসেন তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য উক্ত আদালতে প্রেরিত হলে বিচারক মামলার নথি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ১২জনের সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে আসামী আব্দুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশস্ত্র কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে, আরো ২ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাডঃ আবদুল লতিফ স্কুল ছাত্রী হত্যা মামলায় এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ