খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

সাতক্ষীরায় সরকারিভাবে খাদ্য মজুদ রয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলায় সরকারিভাবে ১৫ হাজার ৪৭৭ মেট্রিক টন খাদ্য-শস্য মজুদ রয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলায় ২৬টি খাদ্য গুদামে ১৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার অনুকূলে ধানের মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৮২৩ মে.টন ৯৩৩ কেজি, চালের মজুদ রয়েছে ১৩ হাজার ৩৭১ মে. টন ৫৭০ কেজি এবং গমের মজুদ রয়েছে ২২৩ মে. টন ২৯০ কেজি। সরকারের চাহিদার প্রেক্ষিতে এসব খাদ্য শস্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত খাদ্য-শস্য অন্য জেলার সরবরাহ করা হয়ে।

সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে থেকে জানা যায়, সদর উপজেলায় নয়টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৬ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৫ হাজার ৩৬৮ মে. টন ৩৯৬ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২৯৬ মে.টন ১৩৩ কেজি, চাল রয়েছে ৪ হাজার ৮৪৮ মে. টন ৯৭৪ কেজি এবং গম রয়েছে ২২৩ মে. টন ২৯০ কেজি।

কলারোয়া উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ২ হাজার ১৫১ মে. টন ২২৪ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২০৫ মে.টন ৪৮০ কেজি, চাল রয়েছে ১ হাজার ৯৪৫ মে. টন ৭৪৪ কেজি। এ উপজেলায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১৫১ মে.টন ২৪৪ কেজি খাদ্য শস্য বেশি থাকলেও নেই গমের মজুদ।

দেবহাটা উপজেলায় ১টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৫০ মে. টন ৮৯ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২৪৩ মে.টন, চাল রয়েছে ৮০৭মে. টন ৮৯ কেজি। এ খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৫০ মে.টন ৮৯ কেজি খাদ্য শষ্য বেশি মজুদ রয়েছে। তবে এ উপজেলায় নেই গমের মজুদ।

কালিগঞ্জ উপজেলায় ২টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৭৪৪মে. টন ৩৯ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ১১১ মে.টন ৮০০ কেজি এবং চাল রয়েছে ৬৩২মে. টন ২৩৯ কেজি। এ উপজেলায় গম মজুদ নেই।

শ্যামনগর উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৫শ মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৯৫২ মে. টন ৪০৫ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ১৩৩ মে.টন ২০০ কেজি, চাল রয়েছে ৮১৯ মে. টন ২০৫ কেজি। এ উপজেলায় গম মজুদ নেই।

আশাশুনি উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৮০৭ মে. টন ১৭০ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২২০ মে. টন ৩২ কেজি, চাল রয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ মে. টন ৫ কেজি। গম রয়েছে ৯ মে. টন ৮০০ কেজি।

তালা উপজেলায় ৫টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৩ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৩ হাজার ৪০৪ মে. টন ৩৮৮ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ৬১৪ মে. টন, চাল রয়েছে ২ হাজার ৭৪১ মে. টন ২৬৯ কেজি। গম রয়েছে ৪৯ মে. টন ১১৯ কেজি। এ উপজেলায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রয়েছে ৪০৪ মে. টন ৩৮৮ কেজি খাদ্য শস্য।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রিয় কমল চাকমা জানান, জেলায় সরকারিভাবে যে খাদ্য-শস্য মজুদ রয়েছে তা চাহিদা চেয়ে কিছুটা বেশি। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরকারি চাহিদার প্রেক্ষিতে উদ্বৃত্ত খাদ্য-শস্য অন্য জেলা প্রেরণ করা হয়ে থাকে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, জেলায় প্রায় ৪ লক্ষ মে.টন বিভিন্ন প্রকার খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়ে থাকে। সাধারণত দিনে একজন পূর্ণবয়স্ক লোক ৪৪২ গ্রাম খাদ্য-শস্য গ্রহণ করে থাকেন। সেই হিসাবে জেলায় যে পরিমাণ খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়ে তা থেকে জেলার বার্ষিক চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মে. টন অন্য জেলায় পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে যে খাদ্য মজুদ থাকে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মজুদ থাকে কৃষকের ঘরে। বর্তমানে সরকারিভাবে যে খাদ্য-শস্য মজুদ রয়েছে তা সারা বছরের নয়। আরও কয়েকটি মৌসুম আছে সে সময়ও খাদ্য-শস্য ক্রয় করে সরকারিভাবে মজুদ রাখা হয়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!