খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা

সাতক্ষীরায় মিনি ফ্লাসিং স্লুইস গেট জবরদখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে মৎস্য চাষের জন্য নির্মিত ও পারিবারিক ভাবে ভোগ দখলীয় একটি মিনি ফ্লাসিং স্লুইস গেট প্রতিপক্ষ কর্তৃক জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের মৃত অধরচন্দ্র মাঝির ছেলে প্রদীপ কান্তি মাঝি এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মৎস্য চাষের সুবিধার্থে ১৯৯৫ সালে পাউবো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে আমাদের শরীক অংশের এজমালী তপশীল বর্ণিত জমির সামনে পাউবো’র বেড়িবাঁধের উপর নিজস্ব অর্থায়নে “ভাই ভাই মৎস্য প্রকল্প” একটি মিনি ফ্লাসিং স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। সেসময় আমার বাবা গেটটি আমার আপন ভাই প্রশান্ত কুমার মাঝির নামে অনুমোদন করেন। ২০০৯ সালে বাবা’র মৃত্যুর পর আমরা তিন ভাই পৃথক অন্নে বসবাস করতঃ যার যার অংশমত চিংড়ি ঘেরটি ভাগ করে নেই। গেটের অনুমোদন নামী ভাই প্রশান্ত কুমার মাঝি ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে আমি (প্রদীপ কান্তি মাঝি) নিজে ফ্লাসিং স্লুইস গেটটি দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি। কিন্তু প্রতিবেশী মৃত সুধীর মাঝির ছেলে তপন কুমার মাঝি আমার ভাই প্রসাদ মাঝির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমার পৈত্রিকভাবে ভোগদখলীয় ফ্লাসিং স্লুইস গেটটি জবর দখলের চেষ্টা করছে। আমাদের ভাই-ভাইয়ের পারিবারিক সমস্যার মধ্যে তৃতীয় পক্ষের সুযোগ নিয়ে তপন মাঝি নিজে ওই স্লুইস গেটটি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিগত ২০১৬ সালের ১০ জুন শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগ নেতার মধ্যস্থতায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে তপন মাঝি উক্ত গেটটি দখল করবে না মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সে এখনো গেট দখলের চেষ্টা করছে। উল্টো সে সংবাদ সম্মেলন করে আমিসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে তার ভোগ দখলীয় ঘের লুটের অভিযোগ করে। যা সম্পূর্ন মিথ্যে, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। গত চার বছর ধরে তপন মাঝি, আমি ও আমার ভাইপো সাধান মাঝিসহ অন্যান্যরা শান্তিপূর্নভাবে নিজেদের স্ব স্ব ঘের সুষ্টুভাবে পরিচালনা করে আসছি।’

প্রদীপ কান্তি মাঝি অভিযোগ করে বলেন, ‘উক্ত ফ্লাসিং স্লুইস গেটটি ব্যবহার করে এলাকার প্রায় ২৫০ বিঘা জমির চিংড়ি ঘেরে পানি ওঠানামা করে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় আ’লীগ নেতা মোশারফ হোসেনের প্ররোচণায় তপন মাঝি ও তার ছোট ভাই স্বপন মাঝি, গোপাল মাঝি, দীনবন্ধু মাঝি, রামকৃষ্ণ মাঝি, আহসান, হারুন, ও রউফ মেম্বর একত্রিত হয়ে আমি ও আমার ভাইপো সাধন মাঝির ভোগ দখলে থাকা চিংড়ি ঘেরসহ ফ্লাসিং স্লুইস গেটটি জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া ঘের লুট ও মারপিটসহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে। যে কারণে আমি ও আমার পরিবার উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছি।’

তিনি সন্ত্রাসী তপন মাঝি ও সাঙ্গ পাঙ্গরা যাতে তার (প্রদীপ) বাবার নির্মিত ফ্লাসিং স্লুইস গেটটি দখল করতে না পারে এবং তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!