সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে সড়কের ধারের অবস্থিত ভাসমান দোকান উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেবৃবৃন্দ। ‘গরীবদের বাঁচাও, দুনিয়ার মজদুর এক হও, শ্রমিক শ্রেণীসহ শোষিত-নিপীড়িত শ্রেণীকে মুক্ত কর’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার (১৭ নভেম্বর)) সকাল ১১ টায় শহরের খুলনা রোড মোড়ে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক এটিএম রইফ উদ্দীন সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, এড. খগেনন্দ্রনাথ ঘোষ, আব্দুস সাত্তার, আবুল কালাম, নুর মোহাম্মাদ, শেফালী প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লুৎফর, কবিতা, নাজমুল, বেল্লাল, রাশিদা, বিষ্ঞু দেব, বাপ্পি, লিটন, রেজাউল প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, করোনা অতিমারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ন্যায় সাতক্ষীরার ভাসমান দোকানদারদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এরপরেও কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে সড়কের ধারে ভাসমান দোকান পরিচালনা করে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনপাত করছিল তারা। তাদের সেই সুখ সহ্য করতে না পেরে সদর হাসপাতালের সামনে সড়কের ধারে অবস্থিত ভাসমান দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তারের কাটার বেড়া দিয়েছে। ফলে এই ক্ষুদ্র ভাসমান দোকানীরা নিভৃতে ঘরের কোণে বসে চোখের জল ফেলছেন। তাদের সেই চোখের জল যেন কেউ দেখতে পায় না। তারাও তো এদেশের মালিক। তবে কেন তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা না করে দোকানগুলো উচ্ছেদ করলো। এর জবাবদিহিতা করবে কে?
বক্তারা তারের কাটার বেড়া সরিয়ে বা বেড়ার মধ্যে ভাসমান দোকানীদের দোকান বসিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সেটি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরার অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকশ্রেণীসহ শোষিত-নিপীড়িত শ্রেণীর সকল মানুষকে সাথে নিয়ে একটি বৃহৎ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ভাসমান দোকান মালিকরা তাদের দাবি আদায় করে নিতে বাধ্য হবে বলে জানান বক্তারা।
খুলনা গেজেট/ এস আই