সাতক্ষীরায় বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত জাতের পরিচিতি শীর্ষক এক কর্মশালা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিনেরপোতা বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা’র প্রশিক্ষণ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিনা ময়মনসিং (গবেষণা) পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বিনা মংমনসিং মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা’র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম, বিনা উপকেন্দ্র’র উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ রোকনূজ্জামান প্রমুখ।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস.এম সেলিম রেজা, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিপন হোসেন, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা’র ফার্ম ম্যানেজার মোঃ ফররুখ আহম্মেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘বিনা উদ্ভাবিত লবণসহনশীল ধানের বিভিন্ন জাত অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রথমে আমরা লবণ সহিষ্ণু জিং আবিস্কার করি। পরে আমরা এটা ধানের মধ্যে আনি। বিনার গবেষণার অংশ হিসাবে লবণ সহিষ্ণু ধান। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট লবণাক্ত এলাকায় লবণ পানি প্রবেশ করে যার মাত্রা ১০/১২ ডিএস/মিটার। এই এলাকার জন্য বিশেষ করে বিনাধান-৮ আর-১০ উপযোগি। সাতক্ষীরায় আম্ফানের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় অনেক আবাদী জমি অনাবাদী হয়ে পড়েছে। আম্ফানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পতিত জমিকে আবারও সবুজ করে তুলতে হবে এই জাতের ধান বীজ চাষ করতে হবে।
সাতক্ষীরায় বিনা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ রোকনূজ্জামানকে বলেন, কৃষকদের উদ্ভুর্দ্ধ করতে বড় বড় ব্লক আকারে ৩ একর/৪ একর জায়গা নিয়ে লবণ সহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের প্রদর্শনী করতে হবে। একই সাথে এই এলাকায় লবণসহনশীল জাতের ধানের জাত স¤প্রসারণ করতে হবে উলেখ করে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার নারী কৃষাণীরা কৃষি ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং তারা খুবই পরিশ্রমি। মাননীয় কৃষি মন্ত্রী বিনাধান-১৬ এর প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।
বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা’র প্রশিক্ষণ হলরুমে অনুষ্ঠিত “বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত জাতের পরিচিতি” শীর্ষক কর্মশালায় ৩৫ জন কৃষক, ২জন উপসহকারি কৃষি অফিসার ও ৭ জন অতিথিসহ মোট ৪৪ জন অংশ গ্রহণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস.এম সেলিম রেজা।
খুলনা গেজেট/কেএম