খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ
  আজ থেকে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ শুরু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ২২৫ রান, হাতে ৩ উইকেট

সাতক্ষীরায় নদীর পাঁড়ে ক্ষত-বিক্ষত শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় মামার বাড়িতে অবস্থানকারি এক এতিম শিশুকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় সদর উপজেলার মরিচ্চাপ নদীর চরবালিথা বেড়িবাঁধ থেকে সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথম সাতক্ষীরা সদর হপসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শিশুটির নাম আলিফ হোসেন ফারহান (৭)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চরবালিথা গ্রামের মঈনুদ্দীন সরদারের প্রথম পক্ষের ছেলে।

উদ্ধারকারি চরবালিথা গ্রামের আশিকুজ্জামান জানান, মরিচ্চাপ নদীর পাঁড় দিয়ে হেটে বাড়ি ফেরার সময় সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে একটি শিশুকে বেড়িবাঁধের উপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে চিৎ করে দিতেই তাকে আলিফ হোসেন ফারহান বলে চিনতে পারেন। তার দু’ চোখ ধারালো কিছু দিয়ে খুচিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আর ঠোট কেটে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। তৎক্ষনাৎ তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শিশুটির পিতা মঈনুদ্দীন সরদার জানান, আমার প্রথম স্ত্রী শারমীন সুলতানা মারা যাওয়ার পরে ফারহান একই গ্রামে তার নানী সকিনা খাতুনের কাছে থাকত। সৎ মায়ের অত্যাচার ছেলেটাকে যেন সইতে না হয় তার জন্য তাকে নানীর কাছে রাখা হয়েছিল।

ফারহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে কে এমনটা করতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মঈনুদ্দীন বলেন, বাচ্চাটির মামি রাণী বেগম মাঝে মাঝে তার ওপর অত্যাচার করত বলে তিনি জানতেন। এরই একপর্যায়ে তাকে এভাবে নির্যাতন করা হতে পারে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভীন আক্তার বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, ফারহানের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার ঠোট, গলা ও গায়ের কয়েক জায়গায় কাটা দাগ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল হোসেন জানান, স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মামীর অত্যাচারের পর ওই শিশুকে নদীর বেড়িবাঁধে ফেলে রাখা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, বিষয়টি তিনি শুনছেন। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!