সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে চলমান লকডাউন। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে সোমবার (৫ জুলাই) শহরের হাট বাজার গুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। সড়কেও বেড়েছে ছোট ছোট যানচলাচল ও লোকসমাগম।
চলমান কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে সাতক্ষীরা শহরের অধিকাংশ দোকান পাট আংশিক (এক সার্টার) খোলা রেখে কেনা বেচা করতে দেখা গেছে। অন্য দিনের তুলনায় শহরের সড়ক গুলোতে লোক সামাগম ও চলাচল ছিল লক্ষ্যনীয়। দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা যেন এসব মানুষের মনের উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারছে না। যদিও আইনশৃখংলাবাহিনীর সদস্যরা মোড়ে মোড়ে চেক পোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছেন। তারপরও থামছে মানুষ। যেন আপন গতিতে চলার প্রয়াস অব্যহত রয়েছে সকলের মাঝে।
এছাড়া জেলার অধিকাংশ এলাকায় করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই সর্বত্রই প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করছেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের পজেটিভের কথা জানিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়ার পরও মটর সাইকেল চালিয়ে বাজারে গিয়ে বাজার করছেন। ভিড়ের মধ্যে গিয়ে কিনছেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। অনেকে কিছুই হয়নি এমন ভাব দেখিয়ে প্রকাশ্যে কেনাকাটা করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চড়ছেন ভ্যান রিকসায়। আবার অনেক অসুস্থ্য ব্যক্তি করোনা পরীক্ষা করতে নমুনা দেয়ার পরও রির্পোট প্রাপ্তির অপেক্ষা না করে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। নিয়মিত নামাজ আদায় করছেন মসজিদে। এর ফলে করোনা ঝুকি ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, লকডাউনের বিধি নিষেধ ভঙ্গ করায় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৬৮টি মামলায় ৪৯ হাজার ৯শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সড়কে জরুরি পন্যবাহী পরিবহন চলাচল করছে। খোলা রয়েছে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গণপরিবহন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে জেলায় একজন করে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রের নেতৃত্বে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর ১০টি পেট্রোল টিম, তিন প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্য মাঠে রয়েছে।
জেলাবাসীকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কেউ অকারণে বাইরে বের হলেই তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম