সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা: কামরুজ্জামানকে রাজকীয় কায়দায় বিদায়ী সংবর্ধণার আয়োজন করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা বাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেমম্বর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের গেটের সামনে এই মানববন্ধন ও কালো পতাকা প্রদর্শণ করা হয়।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ মারুফ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, প্রভাষক আমিনুর রহমান, জিল্লুর রহমান, ডা: প্রকাশ, সামছুন্নাহার, রজব আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ছয় বছরের বেশি সময় ধরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকার সুবাদে ও ছাত্র সমতুল্য ডাঃ রুহুল কুদ্দুস ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে চাকুরি করার সুবাদে সপ্তাহে একদিন কলেজ করতেন অর্থোপেডিকস সার্জেন্ট ড্যাব নেতা ডাঃ এএইচএমএস কামরুজ্জামান। তার কাছের লোক বলে পরিচিত কয়েকজন ডাক্তার সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন দায়িত্ব পালন করে বাকী সময় বাইরের ক্লিনিকে সময় দিয়ে দিতেন। ডাঃ কামরুজ্জামানের কথামত কাজ না করতে রাজী হওয়ায় নাক, কান ও গলার রোগ বিশেষজ্ঞা ডাঃ জাহিদ হাসানকে বরিশাল জোনে বদলী করা হয়।
বক্তারা বলেন, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি লিফটম্যান, পরিচ্ছন্ন কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরীসহ ১৩টি পদে ৩৩ জনের যে নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয় সেই কমিটির সভাপতি ছিলেন ডাঃ কামরুজ্জামান। ৩৩ জনের মধ্যে তার তিন আত্মীয় সুজন, শেখ বিল্লাল ও সবুজকে চাকুরি দেয়া হয়। নতুন নিয়োগকৃত ছয়জন কর্মীকে মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে ছাটাই করায় নূরজাহান বাদী হয়ে এ বছরের ১৪ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও দুদকে অভিযোগ করেন।
৫ম ব্যাচে তার বিভাগে প্রথম হওয়া ছাত্র আল মুকিতকে ফেল করিয়ে নিজের স্বেচ্ছাচারিতার নিদর্শন সৃষ্টি করেন বলে ডাঃ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। করোনাকালিন কলেজে না এসেও যাবতীয় বাড়তি সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন ক্রয় কমিটির সভাপতি হওয়ার সুবাদে ডাঃ রুহুল কুদ্দুসকে ম্যানেজ করে ডাঃ কামরুজ্জ্ামান অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ডাঃ কামরুজ্জ্ামান এর বিদায় সংবর্ধনার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে কালো পাতাকা দেখানো হয়।
খুলনা গেজেট/এসজেড