সাতক্ষীরায় দাবিকৃত এক লক্ষ টাকা চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা এক ঘের মালিকসহ তার দুই ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার কানপুর গ্রামে মাসুদের মাছের ঘেরে এঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মশিউর রহমান বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
বাদি মশিউর রহমান তার লিখিত এজাহারে বলেন, আমিসহ অপর দুই ভাই মারুফ ও মাসুদ শহরে বসবাস করলেও সদর উপজেলার পরানদহ মৌজার ডিপি ৮৪২ সহ অন্যান্য জমিতে দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘের ও ধান চাষ করে আসছেন। মাছের ঘের ওষুধের দোকানসহ অন্যান্য ব্যবসা দেখভাল করার জন্য মারুফ ও মাসুদ প্রায়ই গ্রামের বাড়ি খানপুরে যায়। গত কয়েকদিন আগে একই গ্রামের ছাত্তারের ছেলে মিজান আমার ভাই মারুফের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে এলাকায় ঘের করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়।
১৩ মে শুক্রবার সকালে মারুফ ও মাসুদ ঘেরভেড়ি দেখার জন্য শহর থেকে খানপুর গ্রামে আসে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খানপুর গ্রামের মৃত দরবেশ মোল্যার ছেলে আখের আলী ও আহাদ আলী, আহাদের ছেলে লিটন ও সাইদুর, আখের আলীর ছেলে আলতাফ ওরফে খোকন, রিপন ও লিটন এবং ছাত্তারের ছেলে মিজানসহ অজ্ঞাতনাম আরো ৪/৫ জন আমাদের ঘেরে ঢুকে আমার ভাই মারুফ ও মাসুদকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে।
এসময় আসামিদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তাদরে দু’জনকে মারাত্মক জখম করে। একপর্যায় তারা দু’ভাই মারা গেছে ভেবে আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে স্থানীয় তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাসুদ ও মারুফের মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৫/২০টি করে সেলাই দিতে হয়েছে। তাদের দুই ভাইয়ের অবস্থা আশংকাজনক।
মশিউর রহমান বলেন, উল্লেখিত আসামিরা এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়না। আমার দুই ভাই শহরে থাকে। নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে মাছের ঘের করি। এলাকায় কারো সাথে তাদের কোন প্রকার শত্রুতা নেই। শুধুমাত্র চাঁদার টাকা না দেয়ায় সন্ত্রাসী আখের আলী গংরা তার দুই ভাইয়েকে কুপিয়ে জখম করেছে। তিনি এঘটনার সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।