সাতক্ষীরায় চলমান কঠোর লকডাউনের আইনশৃখংলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় প্রতিদিনই শহরের সড়ক গুলোতে বাড়ছে মানুষের জনসমাগম। হাট বাজার গুলোতেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই।
শহরের অধিকাংশ দোকান পাট আংশিক (এক সার্টার) খোলা রেখে বেচাকেনা করা হচ্ছে। সড়কে জরুরি পন্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি অসংখ্য ছোট ছোট যান চলাচল করতে দেখা গেছে। খোলা রয়েছে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গণপরিবহন।
এদিকে, ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চলছে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। সেখানে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার অবাধে চলাচলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হলেও তারা তা মানছেননা। সীমান্ত এলাকায় তারা অবাধে যাতায়াত করছেন। এর ফলে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমনের আশংকা বাড়ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, লকডাউনের বিধি নিষেধ ভঙ্গ করায় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ টি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৪৫ টি মামলায় ২১ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রের নেতৃত্বে ২২টি ভ্রাম্যমান আদালত, সেনাবাহিনীর ১০ টি পেট্রোল টিম, তিন প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন রয়েছে। তিনি এ সময় জেলার সর্বসাধারনকে সরকারের দেয়া লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলার আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/ টি আই