সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ চেষ্টা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সাতক্ষীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাসিমাবাদ গ্রামের ইদ্রিস ফকিরের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান পল্টু এবং সিরাজুল গাজীর ছেলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল গাজী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলিয়া গ্রামের কলেজ ছাত্রী (১৭) কে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই ইউনিয়নের লাঙ্গলদাড়ীয়া গ্রামের মিজানুর গাজীর ছেলে ইব্রাহীম গাজী। এরই জের ধরে গত ১৫ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে লাঙ্গলদাড়িয়া রাস্তর উপর একা পেয়ে ইব্রাহীম ও জুয়েল ওই কলেজ ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর কলেজ ছাত্রীর ভাইসহ অন্যরা প্রতিবাদ করলে তারা চলে যায়। পরের দিন ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শ্রীউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান পল্টুর নেতৃত্বে ইব্রাহিম, জুয়েল, মৃত আনছার গাজীর ছেলে মিজানুর, কলিমাখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রফি, আব্দুস সবুর, আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে মিন্টু, এরমান সরদারের ছেলে উজ্জল, আব্দুল জব্বারের ছেলে সুন্দর আলী ও এফাজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল আজিজসহ ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিতে গেলে কলেজ ছাত্রীর ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম কওে তারা। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ১৮ অক্টোবর আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীদের মধ্যে আজিজুর রহমান পল্টু ও সুন্দর আলী মঙ্গলবার আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কলেজ ছাত্রীর পিতা জানান, বর্তমানে মামলা তুলে নিতে আসামীদের স্বজনরা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদরেকে ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এএ