গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৮৬ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর আগেরদিন রোববার ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। যার শনাক্তের হার ছিল ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ। আজ সোমবার (২১ জুন) সাতক্ষীরায় চলমান বিশেষ লকডাউনের তৃতীয় সপ্তাহের তৃতীয় দিন চলছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মোট ৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে তিন জন মারা গেছেন। এনিয়ে, জেলায় এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৬১ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্ততঃ ২৭৪ জন।
এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২৯ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ২০ জন করোনা পজেটিভ রোগী ও বাকীরা সবাই উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩৯ জন ও আক্রান্ত হয়ে তিন জন ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮৬ জন। জেলায় মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৯৯০ জন।
ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালকে সর্বসাধারণের জন্য চিকিৎসার ঘোষণা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
অপরদিকে, সকাল থেকে লকডাউন চলছে ঢিলেঢালাভাবে। শহর ও গ্রাম অঞ্চলের হাট বাজার গুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষনীয়। স্বাস্থ্যবিধি কিছুতেই মানছেন না তারা। তাই লকডাউন সর্বাত্মক করতে পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেক পোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, সাধারণ মানুষ কিছুতেই স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন আরো জোরদার করতে হবে। তিনি এ সময় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/ এস আই