সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন নারীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৮৮ জন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের মরিফুল সরদারের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩২), কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত করিম বক্সেও স্ত্রী খোদেজা বেগম (৭০), তালা উপজেলার কিসমত ঘোণা গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৪৫) ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলার খুড়িয়া গ্রামের ইউনুস সরদারের ছেলে জলিল সরদার (৩৬)।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৩১ আগষ্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা সামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাত সেয়া ১২ টা থেকে শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় ৬২ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
সামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বরের পর্যন্ত মোট ৫১ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ কোন রোগী নেই। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৮ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৫ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে চারজন। এ সময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৬২ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। তিনি আরো বলেন, ২৪ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮৪৬ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৪৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১৪ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ২১২ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ২০৯ জন। জেলায় ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৮৮ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৬১ জন। এছাড়া সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৯১ হাজার ৩২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯৪ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম