সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে করোনা উপসর্গে মৃত্যুর সংখ্যা। কমেছে সংক্রমনের হার। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৭৮ জন।
করোনা উপসর্গে মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মহেষকুড় গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৬০), সাতক্ষীরা সদও উপজেলার মৃগীডাঙ্গা গ্রামের নিজাম সরদারের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৬০), আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৫৫) ও পাটকেলঘাটা থানার জুসখোলা গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৮৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ সেপ্টেম্বর ভোর রাত ৫ টা ২০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা সোয় ৬ টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত মোট ৫৫ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ কোন রোগী নেই। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৭ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৬ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ১২১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে চার জন। এ সময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৬৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের ও সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৫২ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ১৯ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮২৬ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৭৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ২৯ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ২৬৩ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ২৫৪ জন। জেলায় ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৭৮ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৬১ জন। এদিকে সিনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪৫৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯৫ হাজার ৩১৮ জন।
খুলনা গেজেট/ এস আই