সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৫৭ জন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়–খালী গ্রামের মৃত গফ্ফার মোড়লের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মোড়ল(৭০), একই উপজেলার কুলতিয়া গ্রামের মৃত যগেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে স্বপন ঘোষ (৫০) ও কলারোয়া উপজেলার ঝিকরা গ্রামের মৃত আবু বক্কারের ছেলে আবেদ আলী (৬০)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৩টা থেকে বেলা সোয়া ১টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মোট ৬২ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ১ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৬১ জন সাসপেক্টেড। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে তিন জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় কিছুটা কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১২ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ১৭৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে তিন জন। এ সময় ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের ও সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৮০ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭৩৮ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১৫০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ২২ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫০০ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১১ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৪৮৯ জন। জেলায় ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৫৭ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৬ হাজার ৭৩৭ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৯ হাজার ৯৯৬ জন।
এদিকে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৮০৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৪ হাজার ২৯৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৬০ জন।
খুলনা গেজেট/ এস আই