সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬৪২ জন।
করোনা উপসর্গে মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার শহরের কামালনগর এলাকার মৃত মোনজেল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৫৫), কালিগঞ্জ উপজেলার বোয়ারিয়া গ্রামের মোহর আলী গাজীর স্ত্রী মিসেস হাসিনা খাতুন (৪০), একই উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের মৃত এজাহার আলীর ছেলে ছবেদ আলী (৬০) ও কলারোয়া উপজেলার মিরানন্দকাটি গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৩৮)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ২৭ আগষ্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর রাত আড়াইটা থেকে রাত পৌনে ১১টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৯৯ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৪ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৯৫ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৪ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৬ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ১৯১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে চার জন। এ সময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের এবং সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৯৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ২ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ২ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৮০ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ৩২ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫৭৭ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৬৫ জন। জেলায় ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৪২ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৩ হাজার ৮৮৯ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৯ হাজার ৮১০ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬২২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৮ হাজার ৪৮৬ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম