সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এনিয়ে জেলায় ৩০ আগস্ট (সোমবার) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ৬৩৭ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পুলপুলিয়া গ্রামের মৃত সফিউর রহমানের স্ত্রী সালেহা খাতুন (৪০), শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামের নিত্যানন্দ মন্ডলের মেয়ে প্রিয়াংকা (২০) ও একই উপজেলার জাবেদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে অহেদুজ্জামান (৮৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২৯ ও ৩০ আগষ্ট তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ আগষ্ট ভোর সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে তারা মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৩১ আগষ্ট সকাল পর্যন্ত মোট ১০৮ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ২ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ১০৬ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ৯৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছে। এ সময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, সোমবার ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬২৮ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯২৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ৩১ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৬১৭ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৬১০ জন। জেলায় ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৩৭ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ৩০ অগষ্ট পর্যন্ত জেলায় ৮৩ হাজার ৭২৩ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৯ হাজার ৬৭৫ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫১০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৬ হাজার ৫৭২ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম