সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ২৩ আগষ্ট (সোমবার) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৭ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬২২ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলী সরদারের ছেলে মোঃ অবদুল আজিজ সরদার (৭৫), আশাশুনি উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বিজির আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (৮৫) ও একই উপজেলার কুল্যা গ্রামের মৃত ধনায় গাজীর ছেলে সেকেন্দার আলী গাজী (৮০)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ১৩ আগষ্ট থেকে ২৩ আগষ্ট বিভিন্ন তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ আগষ্ট (সোমবার) ভোর রাত সাড়ে ৪টা থেকে রাত পৌনে ৮টা দিকে তারা মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৪ আগষ্ট সকাল পর্যন্ত মোট ৮৯ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৬ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৮৩ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ২৭ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৭ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ২০৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১২দশমিক ০৫ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গে মারা গেছে ৩ জন। এ সময় ২০৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের এবং সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ১১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ১৩ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, সোমবার ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৫৩৮ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৭৪৩ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৭৭২ জন। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯ জন। জেলায় ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৭ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬২২ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম