সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মার্চ তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় গত ৬ মার্চ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মোট ৯২ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৮৪৮ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরার সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫৫), কালিগঞ্জ উপজেলার গনপতি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে লোকমান হাকিম(৫০), একই উপজেলার মৌতলা গ্রামের মৃত তুরফান আলীর ছেলে আতের আলী (৭০) ও খুলনার দিঘলিয়া থানার ডোমরা গ্রামের কুশহীলাল রায়ের ছেলে সৌরেশ রায়(৫৪)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চের মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মার্চ ভোর রাত সোয়া ৪টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি। এসময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ও র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৭ মার্চ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে মোট ১৯ জন রোগী । এর মধ্যে ১ জনের করোনা পজেটিভ ও বাকি ১৮ জন সন্দেহজনক (সাসপেক্টেড)। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ১জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৮টি নমুনা পরীক্ষা করে কারোর করো না শনাক্ত হয়নি।
তিনি আরৌ বলেন, জেলায় ৬ মার্চ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৯২২ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৭৮০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ৮ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫০জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৪৯জন। জেলায় এপর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯২ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরও ৮৪৮ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ৬ মার্চ পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৯৩৭ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৫৯ এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৪৫ জন। ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৫০ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৩ হাজার ২১৬ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার ১৯ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৭২৪ জন। এছাড়া এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৬৮ হাজার ১৫৬ জন এবং ফাইজার ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯১ জন।
তিনি জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এপর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৬২৪ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৫২২ জনকে এবং তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৬৮ হাজার ২৪৭ জনকে।
খুলনা গেজেট/ এস আই