সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৭৩৩ জন। তবে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরা সদরের মৃত বাশারাতুল্লাহ’র ছেলে মোঃ বজলুর রহমান (৬৫)। জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে তিনি সামেক হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ নভেম্বর মারা যান।
সামকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা উপসর্গ নিয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ কোন রোগী নেই। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ২ জন। করোনা উপসর্গে মারা গেছে একজন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৪টি নমুনা পরীক্ষা করে করো করোনা শনাক্ত হয়নি। তবে করোনা উপসর্গে একজন মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৪ হাজার ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে সাতক্ষীরা জেলায় ৬ হাজার ৮৬৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এসময় জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৪২ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৩৯ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৩৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছে ১জন। জেলায় এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন ৭৩৩ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ও ৮০ হাজার ৬১ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৭৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৩২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ হাজার ৭০৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪ হাজার ২৯১ জন।
খুলনা গেজেট/ এস আই