সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় এক বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামী হাসান আলী সরদার (২৫) কে কারাগারে না পাঠিয়ে নিজ বাড়িতে প্রবেশনে পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ করে দিয়েছেন আদালত। তবে এই সময় তাকে ৫টি শর্ত পালনের আদেশ দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার মঙ্গলবার দুপুরে এই যুগান্তকারী এ আদেশ দেন।
প্রবেশনে যাওয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামী হাসান আলী সরদার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে। এই মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. এ টি এম ফখরুল আলম এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন এড. শামছুল বারী।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এড. এ টি এম ফখরুল আলম জানান, মঙ্গলবার জি আর ৪৩/১৫ (টিআর ২৯/১৬) নম্বরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার রায়ে (৩ কেজি গাজা রাখার অপরাধে প্রমাণিত হয়) আসামী হাসান আলী সরদারকে এক বছরের প্রবেশন দেয়া হয়েছে।
তবে আসামীকে পাঁচটি শর্ত মানতে হবে। শর্তগুলো হলো, কোনরুপ মাদক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করবে না, কোন খারাপ সঙ্গীর সাথে মিশবে না, প্রবেশনকালীন সময় ১০টি গাছ রোপণ করতে হবে, পিতা-মাতার সেবা করতে হবে, সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে। তবে, প্রচারণার সময় কি কি উল্লেখ করতে হবে তাও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। শর্তগুলো ভঙ্গ করলে তাকে আবারও কারাগারে যেতে হবে বলে আদেশ দেন আদালত।
আসামী পক্ষের আইনজীবী আরো বলেন, সাতক্ষীরার আদালতের এটি একটি উল্লেখযোগ্য আদেশ।
এদিকে, সাজাপ্রাপ্ত আসামী শর্তগুলো মানছে কি-না তা তদারকি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাতক্ষীরা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশনাল অফিসারকে। তিন মাস পর পর সমাজসেবা অফিসের প্রবেশনাল অফিসারকে আদালতে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেয়ার আদেশও দেয়া হয়েছে আলোচিত এই রায়ে।
খুলনা গেজেট/এনএম