সাতক্ষীরায় আইনচর্চা বিষয়ক এক কর্মশালা শনিবার বেলা ১১টায় জেলা আইনজীবী সমিতির নতুন ভবনের তিনতলায় অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম শাহ আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. গোলাম মোস্তফা, অ্যাড. মোস্তফা জামান, আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, এড. রফিকুল ইসলাম, এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, আইন পেশা একটি মহান পেশা। এ পেশাকে সমুন্নত রাখতে পড়াশুনার পাশাপাশি জ্যেষ্ট আইনজীবীদের মামলার উপস্থাপন, জবানবন্দি ও জেরা ধৈর্য ধরে শুনতে হবে। সেটাকেই ধারণ করতে পারলে নিজের লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে একজন বিচারপ্রার্থীকে ন্যয় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা রাখা যায়। নিজের শিক্ষা জীবন ও কর্মজীবনের কিছু বিশেষ মুহুর্তের কথা তুলে ধরে প্রধান অতিথি আরো বলেন, প্রথম পেশা, প্রথম চাকুরি ও প্রথম প্রেম ভোলা যায় না। জুনিয়র আইনজীবীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পেশাগত সাফল্য ধরে রাখতেই নিজেকে সৎ হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাড. এম শাহ আলম বলেন, আইনজীবী না হয়েও অনেকে আইনজীবী পরিচয়ে মোয়াক্কেলদের হয়রানি করে যাচ্ছেন। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। টাউট বাটপাড়দের অনেক সময় মঞ্চে বসে থাকতে দেখে সম্মানী লোকজন মাথা নীচু করে চলে যায়। জ্যেষ্টদের সম্মান করে এ অবস্থার পরিবর্তণ করতে আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কৌশলে অলিখিত কাগজে স্ত্রীর সাক্ষর নিয়ে এসে আদালতে এফিডেফিড করে তালাক দেওয়া হচ্ছে। এতে একজন নারী ও তার সন্তানরা পথে বসছে। এ ধরণের নীতিবহির্ভুত কাজ থেকে দূরে থাকার আহবান জানিয়ে অ্যাড. শাহ আলম বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে এ ধরণের কাজ করতে যেয়ে সাত বছরের কারাদণ্ড হয় আইনজীবী সমিতির এক সদস্যের। তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য সহকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/ কে এম