কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে সাতক্ষীরার তিনটি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা ভোট গণনার কাজ।
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বুধবার (৫ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ১১টি, শ্যামনগর উপজেলার ৩টি ও কলারোয়া উপজেলার ২টি মিলে মোট ১৬টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হয়।
আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় ভোট দেয়ার জন্য ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তবে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। দীর্ঘদিন পর ভোটাররা নিজেদের ভোট নিজে দিতে পেরে বেজায় খুশি।
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন এর দক্ষিণ গদাইপুর কেন্দ্রের নারী ভোটার সখিনা বিবি জানান, আগের দুটি নির্বাচনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারিনি। আগেরবার কেন্দ্রে যাওয়ার পর জানানো হয় আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। পরেরবার ব্যালট নিয়ে বলেছিল আপনি চলে যান আপনার ভোট আমরা দিয়ে দিব আপনার দেয়া লাগবেনা। এবার নিজের ভোট টা নিজের হাতে দিতে পেরেছি।
জেলার শেষ ধাপের এই নির্বাচনে ১৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭৫জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৫৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য পদে ২০৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল কবীর জানান, পঞ্চম ধাপের এই নির্বাচনে জেলার ১৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৫৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থী ছিল ২০৪ জন। তিনি আরও জানান, এই নির্বাচনে ১৫৩ টি কেন্দ্রের ৮৮৬ টি কক্ষে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩১০ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮০শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ডিএসবি’র ওসি মিজানুর রহমান জানান, প্রতিটি কেন্দ্র্রে অস্ত্রসহ এসআই এর নেতৃত্বে ৫জন পুলিশ, ১৭ জন আনসার সদস্য এরমধ্যে ২জন অস্ত্রসহ দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি র্যাব, বিজিবির টহলের সাথে প্রতিটি ইউনিয়নে ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যা যা করণীয় তা করেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই