সাতক্ষীরায় মৃত্যু ঘটিতে পারে জেনেও স্ত্রীর বুকে ও পিঠে লাথি মারার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির ছয় বছর সশ্রম কারান্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে, আরো দুই মাসের কারান্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম নুরুল ইসলাম। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের হামিজউদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের আরশাদ আলীর মেয়ে শাহানার খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের হামিজউদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলামের ১৯৯২ সালে বিয়ে হয়। নুরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানারকে সে প্রায়ই মারপিট করতো। সালের ১২ নভেম্বর রাত নয়টার দিকে চাল কেনার জন্য শাহানারা খাতুন তার স্বামীর কাছে টাকা চাইলে বচসার একপর্যায়ে তার বুকে ও পিঠে লাথি মেরে জখম করেন। রাত সাড়ে টার দিকে গ্রাম ডাক্তার ফজর আলী এসে শাহানারা মারা গেছে বলে জানান। এ সময় স্থানীয়রা নুরুল ইসলামকে আটক করে পরদিন সকালে পুলিশে খবর দেন।
এ ঘটনায় শাহানার খাতুনের বাবা আরশাদ আলী বাদি হয়ে জামাতা নুরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে পরদিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নুরুল আমিন ২০০২ সালের ২৬ মে নুরুল ইসলামের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাফাই সাক্ষ্য প্রদানকালে নিহতের মেয়ে মৌসুমী আক্তার বেবী তার মাকে বাবা লাথি মেরে হত্যা করেছে বলে জানায়।
মামলাটি বিচারের জন্য উক্ত আদালতে প্রেরতি হলে বিচারক মামলার প্রয়োজনীয় নথি ও ১৭ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবিন্দ পর্যালোচনা শেষে আসামী নুরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে উল্লেখিত সাজা প্রদান করেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. হাবিবুর রহমান বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু।