সাতক্ষীরার কিছু অসাধু খুচরা কাপড় ব্যবসায়ির কারণে প্রাণসায়েরের খাল সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষে জেলা প্রশাকের গৃহীত উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। তারা খালের দুই ধারে অবৈধ ভাবে দোকানপাট তৈরি করে ব্যবসা করছেন দেদারচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ফেলে খালের পাড় ভরাট করে ফেলছেন। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই সেখানে। প্রতিকার চেয়ে জেলা বস্ত্র ব্যবসায়ি সমিতি শনিবার (২১ আগষ্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাতক্ষীরা ওয়ান ব্যাংকের সামনে মাহমুদপুর ক্লথ ষ্টোরের পিছনে সাবেক মেয়র আব্দুল জলিলের বাড়ির পূর্ব পাশে ২০/২৫ টা সিট কাপড়ের দোকান অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে। তারা জেলা বস্ত্র ব্যবসায়ি সমিতির সদস্য নন। তারা প্রতিদিন ব্যবহার নিষিদ্ধ পলিথিন ও খাবারের প্যাকেট খালে ও পাড়ে ফেলে ময়লার স্তুুপে পরিনত করছে। ফলে পঁচা দূর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। খালের ধারে যেসব অবৈধ দোকানদাররা ব্যবসা করছে তার মধ্যে রেজওয়ান, রাকিব, রিয়াজ আলী, শওকত, শহীদুল গিয়াসউদ্দিন রাজা, বাদশা, রাজু খোকন প্রমুখ।
বস্ত্র ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি শেখ গোলাম রসুল জানান, সাতক্ষীরা শহর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সাবেক জেলা প্রশাসক খালের দুই ধারে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ির কারণে জেলা প্রশাসকের সে উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। তারা ময়লা আবর্জনা ফেলে খালের পাড় ভরাট করে ফেলেছে প্রায়। ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ কয়েকদফা নিষেধ করলেও তারা কোন তোয়াক্কা না করে দেদারছে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। অবিলম্বে উক্ত অবৈধ হকারদের প্রাণসায়েরের ধার হতে উচ্ছেদ করতে এবং খালের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই
