সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোলপেটুয়া নদীর বিকল্প রিং বাঁধ ভেঙ্গে আবারও পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুপুরের জোয়ারের সময় শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রতাপনগর মানিক হাওলাদারের বাড়ির উত্তর পাশের বিকল্প রিংবাঁধ সামান্য ভেঙ্গে যায়। কিন্তু শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতের জোয়ারে সেটি আরো বৃদ্ধি পেয়ে রিং বাঁধের প্রায় একশ’ ফুট ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জানান, ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রতাপনগর ইউনিয়নের বন্যাতলা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। বাঁধটি এখনো সংষ্কার করা সম্ভব না হওয়ায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের উদ্যোগে প্রতাপনগর গ্রামের সামনে দিয়ে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণ করা হয়। খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের চাপে বৃহস্পতিবার স্থানীয় জব্বার মাষ্টারের বাড়ির সামনে থেকে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়।
এসময় গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে দ্রুত ভাঙ্গন পয়েন্ট টি মেরামত করা হয়। দুপুরের জোয়ারের তোড়ে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের পর প্রতাপনগর মানিক হাওলাদারের বাড়ির উত্তর পাশের বিকল্প রিং বাঁধটি সামান্য ভেঙ্গে যায়। কিন্তু রাতের জোয়ারে ভাঙ্গন পয়েন্টটি আরো বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় একশত ফুট রান্তা ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে প্রতাপনগর তালতলা, মাদার বাডড়িয়া, কুড়িকাহনিয়া, কল্যাণপুর সহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার মধ্যে প্রতাপনগর পশ্চিম, মাদার বাড়িয়া গ্রামের কয়েক শ’ বিঘার মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে কয়েক শ’ পরিবারের ঘর বসতবাড়ি। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি।
তিনি আরো বলেন, এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিকল্প রিং বাঁধের ভাঙ্গন পয়েন্টটি আটকাতে কাজ চলছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ভাঙ্গন পয়েন্টটি আটকানো সম্ভব না হলে সম্পুর্ণ প্রতাপনগর ইউনিয়নটি আবারও পানিতে তলিয়ে যাবে।
তিনি বানভাসি ভুক্তভোগী অসহায় মানুষের সুরক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে বিকল্প রিং বাঁধ আটকাতে ও রিং বাঁধ টিকিয়ে রাখতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এস আই