সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলেসহ তিন জন নিহত হয়েছে। । সোমবার (২১ জুন) সকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ভিখালী গ্রামে ও বেলা দেড়টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার বয়েরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে ডিশ লাইনের তারে কাপড় শুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মার্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মা’কে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলেরও মৃত্যু হয়।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহতরা হলো, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বয়েরা গ্রামের সামছুর রহমান সরদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৮০) ও তাদের ছোট ছেলে রোকনুজ্জামান সরদার (৩৬) এবং কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ভিখালী গ্রামের অবু তালেব মিস্ত্রির ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৫)।
নিহত রোকনুজ্জামানের প্রতিবেশী আব্দুল জব্বার জানান, দুপুর দেড়টার দিকে গোসলের পর বাড়ির উঠান দিয়ে বয়ে যাওয়া ডিশ লাইনের তারের কাপড় শুকাতে যান বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম। কিন্তু আগে থেকেই পল্লী বিদ্যুতের সার্ভিস তারের সাথে জড়িয়ে থাকা ডিশ লাইনের তারের উপর ভিজা কাপড় দেয়ার সাথে সাথে বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটক যান। এঘটনা দেখে বৃদ্ধার ছোট ছেলে রোকনুজ্জামান মা’কে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে সেও বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে আটকে যায়। পরের বৃদ্ধার বড় ছেলে সেলিম সরদার এসে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে তাদের দু’জনকে তার থেকে ছাড়িয়ে ফেলন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় নলতা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎস্যক তাদের মা ও ছেলেকে মৃত ঘোষনা করেন।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি জানার পর থানা থেকে একজন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
এদিকে কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ভিখালী গ্রামে ভিজে কোল (চিকন বাঁশ দিয়ে তৈরী) দিয়ে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জাহিদুল ইসলাম নিহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান সম মোর্শেদ জানান, দেড় মাস হলো জাহিদুল বিয়ে করেছে। সকালে সে বাড়ির পাশে নিজেদের গাছে আম পাড়ছিল। ভিজে কোল দিয়ে আম পাড়ার এক পর্যায় গাছের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ মেইন লাইনের তারে কোল স্পর্শ করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
খুলনা গেজেট/ এস আই/কেএম