বহুল সমালোচিত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রতারক মোঃ সাহেদকে সাতক্ষীরার অবৈধ অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে নিয়ে এসেছে র্যাব-৬। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেলে তাকে র্যাব-৬ কার্যালয়ে আনা হয়। এখানে ১০দিনের রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব।
সূত্র মতে, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার মোঃ সাহেদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ১০দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সাতক্ষীরার ভার্সুয়াল আদালত। সে মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে র্যাব। সাতক্ষীরার দেবহাটাতে মোঃ সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র মামলায় করে র্যাব। এই মামলার রিমান্ড শেষে উত্তরা পশ্চিম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা জাল নোটের মামলায় আদালতে তার রিমান্ড চাওয়া হবে। র্যাব বাদী হয়ে মোঃ সাহেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে। প্রতারণার অভিযোগে প্রথম মামলা দায়ের হয় উত্তরা পশ্চিম থানায়, দ্বিতীয় মামলা (অস্ত্র) সাতক্ষীরার দেবহাটাতে এবং তৃতীয় মামলা জালনোট উদ্ধারের বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা মামলা করা হয়। তিনটি মামলা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র্যাবকে অনুমতি দিয়েছে। রিমান্ড শেষে অস্ত্রের বিষয়ে জানা যাবে বলে সূত্রটি জানিয়েছেন।
র্যাব-৬ মিডিয়া অফিসার এএসপি মোঃ মাহবুব-উল-আলম বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এখনি তেমন কোন বিষয় নেই। জিজ্ঞাসাবাদের পর ব্রিফ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভূয়া রিপোর্ট দেয়ার মামলায় রিজেন্ট গ্র“প ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। রবিবার (২৬ জুলাই) সদর দপ্তরে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ করিম তার প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। এছাড়া র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে মোঃ সাহেদ। তিনি বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন সুবিধা আদায় করতেন বলেও অভিযোগ ও তথ্য পাওয়া গেছে। তার অর্থ পাচারের বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়েরের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অনুরোধ জানিয়েছি। সিআইডি তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন