খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  যাত্রাবাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত
  জুলাই গণহত্যা : ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
  বিশ্বকাপ বাছাই : মার্টিনেজের ভলিতে পেরুর বিপক্ষে জয় পেল আর্জেন্টিনা

সাতক্ষীরায় জনরোষে স্কুলের পাতানো নিয়োগ বোর্ড বন্ধ

রুহুল কুদ্দুস, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় সকলের অগোচরে রাতের অন্ধকারে পরীক্ষা গ্রহণকালে জনরসে পড়ে ভেস্তে গেছে সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘোনা ইউনিয়নে অবস্থিত ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পাতানো নিয়োগ প্রক্রিয়া।

অভিযোগে জানা গেছে, ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে ১২জন প্রার্থী আবেদন করেন। সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় সাতক্ষীরা শহরের নবারুণ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহর উপস্থিতিতে পাতানো নিয়োগ বোর্ড বসান বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফজলুর রহমান মোশা। সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে এই পাতানো নিয়োগ বোর্ড করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এদিকে, রাতে সাতক্ষীরা শহরের নবারুণ বালিকা বিদ্যালয়ে গোপনে নিয়োগ বোর্ড বসানোর বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয়রা। তারা রাতে স্কুল খোলা কেন জানতে চাইলে এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

অপরদিকে, রাতে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ কালে জনরোষে পড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান ডিজির প্রতিনিধি সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ও ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুর রহমান ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, আমরা চিঠি পেয়ে এসেছি। তবে রাতের বেলায় বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে গোপনে কেনো পরীক্ষা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তারা কোন উত্তর দেননি।

জানতে চাইলে ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুর রহমান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। সবকিছু বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি করছেন।

ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফজলুর রহমান মোশার কাছে রাতের অন্ধকারে কেন নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে এমনটি হয়েছে। তবে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিন।

এ বিষয় নবারুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেকের কাছে সন্ধ্যার পরে স্কুলে তালা লাগিয়ে কি হচ্ছে জানতে চাইলে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, তারা আমার কাছে রুম চেয়েছে। তাই দিয়েছি। আর কিছু বলতে পারব না।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!