সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী জিএম আমীর হামজার ২৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে আদালতে আত্মসমর্পণকৃত আসামী ইসতিহাক আহম্মেদ ওরফে আরাফাত হোসেনের বাড়ির পিছনের হলুদ ক্ষেত থেকে মুটি খুঁড়ে ওই টাকা উদ্ধার করা হয়।
আসামি আরাফাত হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের নলকুড়া গ্রামের মোতালেব সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দিন জানান, গত ২০ জানুয়ারি এজাহারভুক্ত আসামী ইসতিহাক আহম্মেদ ওরফে আরাফাত হোসেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আহম্মদ কবীর। বৃহষ্পতিবার আমলী প্রথম আদালতের বিচারক নয়ন কুমার বড়াল শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার তাকে কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আরাফাত তার কাছে ছিনতাইয়ের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকা তার বাড়ির পাশে হলুদ ক্ষেতে আছে বলে স্বীকার করে। সে অনুযায়ি শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওই হলুদ ক্ষেতের মাটি খুঁড়ে একটি ব্যাগ থেকে পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের ‘মা ট্রেডার্সের’ সত্ত্বাধিকারী জিএম আমির হামজার কর্মচারী (ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক) শওকত আলী ও ওবায়দুল্লাহ ব্যবসায়ীক কাজে গত ১৯ ডিসেম্বর বিকালে সাতক্ষীরার দুটি ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত ও তিনজন ব্যবসায়ির কাছ থেকে আদায়কৃত বকেয়াসহ মোট ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে ভোমরায় ফিরছিলেন। একপর্যায়ে বিকাল ৪টা ৫০মিনিটে আলিপুর ঢালীপাড়া বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পৌঁছালে দুটি মোটর সাইকেলে পাঁচজন ছিনতাইকারি শওকত হোসেনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে শওকতের মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে ও ওবায়দুল্লাহর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে শওকত এবং ওবায়দুল্লাহ রাস্তার উপর পড়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারীরা ওবায়দুল্লার কাছে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের আতাউরের ছেলে মেহেদী হাসান মুন্না নামের একজন ছিনতাইকারীকে আটক করে জনতা পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় বাকি ৪ ছিনতাইকারী টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আমীর হামজা বাদি হয়ে কলেজ ছাত্র মেহেদী হাসান মুন্না, এজাজুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন ও নয়নকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা (থানা মামলা নং ৩৪, জিআর-৫৫৯/২৪ সদর) দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম