সাজেদা চৌধুরী ‘৭৫ পরবর্তীতে দু:সময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরে ছিলেন। এসময়ে তিনি দক্ষ রাজনীতিবিদ হিসেবে সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তার সাথে ছিলেন। তিনি জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগের দূর্গকে শক্তিশালী করতে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগকে গতিশীল করেছিলেন। তিনি নিজের কথা না ভেবে সকল ত্যাগ স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুর মতো দেশ ও মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, সাজেদা চৌধুরী ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন এবং ‘৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী স্মরণে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে আরো বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মো. শফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, মীর বরকত আলী, এস এস আসাদুজ্জামান রাসেল, ফেরদৌস হোসেন লাবু, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মো. সিহাব উদ্দিন, মীর মো. লিটন, পারভিন ইলিয়াছ, সমীর কৃষ্ণ হীরা, নূরিনা রহমান বিউটি, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, আফরোজা জেসমিন বিথী, নূর জাহান রুমি, রুমা খাতুন, রেখা খানম, রেজওয়ানা প্রধান, নাছরিন আক্তার তন্দ্রা, নজীবুল ইসলাম নজিব, মল্লিক নওশের আলী, শওকত হোসেন, হাবিবুর রহমান দুলাল, রোজী ইসলাম নদী, শেখ আবুল হোসেন, ফারুক হোসেন তুরান, মো. শহীদুল হাসান, মো. আমিরুল ইসলাম বাবুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভা শেষে সাজেদা চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আ খ ম জাকারিয়া ও হাফেজ আব্দুর রহীম।