অবৈধ পথে ভারত গিয়ে দেড় থেকে ৩ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন দুই শিশুসহ ১২ বাংলাদেশি নারি-পুরুষ। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টার সময় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
তারা ভারতে দেড় থেকে ৩ বছর সাজাভোগ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।
ফেরত আসাদের মধ্যে ৩ জন নারি,৭ জন পুরুষ ও দু’জন শিশু রয়েছে। তাদের বয়স ৭ থেকে ৩৫ বছর এর মধ্যে। এরা বাগেরহাট, খুলনা ও বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের এরিয়া ম্যানেজার এবিএম মুহিত বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আসায় তারা ভারতে যায়। সে দেশের ব্যাঙ্গালুর এলাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। সেখান থেকে তালাশ নামে একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে ।দেড় বছর পর তারা দেশে ফিরে এসেছে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ‘এ সব নারি-পুরুষ পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করার সময় সেই দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে তারা জেলহাজতে যায়। পরে ভারতের ব্যাঙ্গালুরে তালাশ নামে একটি বে-সরকারি সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। সেখানে দেড় থেকে ৩ বছর থাকার পর ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরেছে ।
ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন