সাতক্ষীরায় সাংবাদিক রেজাউল ইসলামের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার শাল্যে গ্রামে দৈনিক গ্রামের কাগজের জেলা প্রতিনিধি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক এস.এম রেজাউল ইসলামের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় দূর্বৃত্তরা তার বাসভবন ও অফিস ভাংচুরসহ জানালার থাই গ্লাসসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এ ঘটনায় সদর থানার একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাংবাদিক এস.এম রেজাউল ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বপরিবারে সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির পক্ষে কাজ করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাংবাদিক রেজাউল ইসলামের ছেলে ফজলে রাব্বি শাওন জানান, তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, তার মা তহমিনা ইসলাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদিকা এবং তার পিতা সাবেক ইউপি সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার আব্দুল মাজেদ হত্যা মামলার আসামী মৃত নূর আলী গাজীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুস সামাদের ছেলে ফারুক হোসেনসহ ৫-৬ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী রামদা, হাতুড়ীসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা তাকে এবং তার পিতাকে খুঁজতে থাকে।
তাদেরকে বাড়িতে না পেয়ে তারা তার পিতার অফিস ভাংচুর করে এবং সেখানে থাই গ্লাসসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে চলে যায়। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে একটি রামদা উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, পারিবারিকভাবে তারা আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকার পরও উল্লেখিত চিহ্নিত সন্ত্রাসী সিরাজুল ও ফারুকসহ কয়েকজন তাদের নানাভাবে হয়রানি করার চক্রান্ত করে আসছে। তিনি এসময় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাতক্ষীরা সদর থানার এস.আই হাসান জানান, জানালার থাই গ্লাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। এঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে