সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন সন্নিকটে জানিয়ে নগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। পিছিয়ে যাওয়ার কোন পথ খোলা নেই দাবি করে তিনি বলেন, মুুক্তির জন্য আন্দোলনই আমাদের গন্তব্য।
সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে খুলনা মহানগরে অনুষ্ঠিত এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টায় রেলস্টেশন চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়। এরপর নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত পথসভা পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল।
শফিকুল আলম মনা বলেন, সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রমাণ করে দিয়েছে এই সরকারকে টিকিয়ে রাখার ক্ষমতা অন্য রাষ্ট্রের হাতে। কোন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের কারো মুখ থেকে এ কথা প্রকাশ পেলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ মামলা হওয়ার কথা। এই সরকার আয়নাঘর বানিয়ে জনগনের কথা বলার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, ভোটের অধিকার, সকল গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে।
তিনি বলেন, সরকার অফিস সময় কমিয়ে দিয়েছে। এতে বোঝা যায় সরকারের কাছে জ্বালানি তেল কেনার টাকা নেই। এরা লুটেপুটে দেশকে দেউলিয়া করে ছেড়েছে। এই সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহবান স্মরণ করিয়ে দিয়ে মনা বলেন, টেইক ব্যাক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যাবে কোনপথে, ফয়সালা হবে রাজপথে। সেই রাজপথের ফয়সালার চুড়ান্ত সময় চলে এসেছে। আমাদের ভোটের অধিকার, হারিয়ে ফেলা সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, শাহিনুল ইসলাম পাখী, মুর্শিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, এহতেশামুল হক শাওন, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, একরামুল কবির মিল্টন, নাজিরউদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, হাসানউল্লাহ বুলবুল, শরিফুল আনাম খান, শেখ জামালউদ্দিন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, নাজিমুল হুদা চৌধুরী সাগর, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মোঃ জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহামন মিল্টন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, মুজিবুর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, শামসুন্নাহার লিপি, ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, তাজিম বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, নুরুজ্জামান নিশাত, সজীব তালুকদার, নুরুল হুদা খান বাবু ও আবু সাঈদ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি