বিয়ের সাত বছর পর মা হয়েছেন লাক্সমিয়া খাতুন (২৩)। তবে একটি-দুটি নয়, একসঙ্গে চার সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। এদের দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। তবে নবজাতকসহ মা সুস্থ আছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার যশোরের কুইন্স হসপিটালে অপারেশনের মাধ্যমে তিনি চার সন্তান প্রসব করেন। একসঙ্গে চার সন্তান প্রসবের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্বজনরা জানান, ২০১৪ সালের জুনে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া গ্রামের আবুল বাশারের সঙ্গে একই উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের চাড়াভিটা গ্রামের লাক্সমিয়া খাতুনের (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের সাত বছর পার হলেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। এনিয়ে উভয় পরিবারে হতাশা আর অশান্তি বিরাজ করছিল। সন্তানের প্রত্যাশায় তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অবশেষে হতাশার অবসান ঘটিয়ে সোমবার সকালে এ দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় চার নবজাতক।
যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নার্গিস আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই দম্পতির কোনো সন্তান হয়নি। দেড় বছর আগে আমার কাছে চিকিৎসার পরামর্শ নিতে আসেন। তাদের দুজনেরই কিছু সমস্যা ছিল। চিকিৎসার তিন মাসেই গৃহবধূ কনসিভ করেন। পরে জানতে পারি তার গর্ভে চারটি বাচ্চা রয়েছে। আল্লাহর রহমতে ওই নারীর কোনো সমস্যা হয়নি। সিজারের মাধ্যমে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান হয়েছে।
নবজাতকের চাচা বাহারুল ইসলাম জানান, সন্তান না হওয়ায় ভাই-ভাবির সংসারে শান্তি ছিল না। তারা যশোর-নড়াইল বিভিন্ন জায়গায় কবিরাজ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনো সুফল মেলেনি। কিন্তু দীর্ঘদিন পর আল্লাহ মুখ তুলে চাইলেন। আমাদের পরিবারে এখন ঈদের খুশি বইছে।
নবজাতকের মা লাক্সমিয়া খাতুন বলেন, আল্লাহর রহমতে আমাদের ঘর আলো করে সন্তান এসেছে। করোনার মধ্যে সন্তান পৃথিবীতে আসবে এটা ছিল আমাদের কাছে বেশ চিন্তার। কিন্তু সব চিন্তা দূর করে আনন্দের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে চারটি সন্তান।
খুলনা গেজেট/ টি আই