খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যাক্সেস ল’ইয়ার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভপতি মনিরুল হুদা বলেছেন কখনও মিথ্যার আশ্রয় নেয় নি। ছাত্র জীবনেই ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছি এটি বড় গর্বের। গুলি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছি এটি পরম আনন্দের। পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে স্বচ্চতার স্বাক্ষর রেখেছি। জীবনের ৮৩টি বছর কেটেছে সততা ও স্বচ্চতার সাথে। জীবনের পরম পাওয়া এ অঞ্চলের মানুষকে ভালবাসতে পেরেছি।
আজ সকালে স্থানীয় টুটপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে ৮৩ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওস্তাদ রাশেদ উদ্দিন তালুকদার স্মৃতি পরিষদের এস.এম মাসুদ মাহমুদ। এ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষ, ৬৯-এর ছাত্রনেতা শ্যামল সিংহ রায়, প্রধান শিক্ষক সুলতানা শামসী, ইতিহাসবিদ এস.এম তৈয়াবুর রহমান, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিধান চন্দ্র রায় প্রমূখ।
প্রবন্ধ পাঠ করেন খুলনা গেজেটের নির্বাহী সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন কবি এস. এম হুসাইন বিল্লাহ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
উল্লেখ্য তিনি ১৯৩৭ সালের ২৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৫০ সালের ১১ ডিসেম্বর চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষের যাত্রার প্রথম দিনে সিটি অব লিয়নস নামক জাহাজের ছবিটি তিনি ক্যামেরা বন্ধি করেন। খুলনায় একাত্তরের গণহত্যার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত খুলনা পাকবাহিনীর নরধেমযজ্ঞ শিরোনামের প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধের দলিলে অষ্টম খন্ডে স্থান পায়।
খুলনা গেজেট/ এস আই