তেরখাদা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বোরো ধান চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা ৮ হাজার ৪৬৫ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও সুবিধাজনক বীজ সরবরাহের ফলে এবারের বোরো ধানের আবাদ কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবার চাষের জন্য কৃষকরা ৪৮০ হেক্টর বীজতলা প্রস্তুত করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে এ বছর ৫ হাজার জন কৃষককে হাইব্রিড বোরো ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি কৃষককে ২ কেজি করে বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হয়। ওই বীজগুলো স্বল্পমেয়াদি, অধিক ফলনশীল ও আবহাওয়া সহিষ্ণু। বীজতলা থেকে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। কৃষকরা তাতে সন্তুষ্ট। বীজের যথাসময়ে সরবরাহ এবং কৃষকদের কাছেও উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়ার কারণে এবারের বীজতলায় সুস্থ ও সবল ধানের চারা উৎপাদিত হয়েছে। কৃষকরা এখন মাঠে চারা রোপণ করছেন।
ইখড়ি এলাকার কৃষক বাদশা শেখ বলেন, ‘আমন ধানের মাঠে পানি জমে থাকার কারণে আগাম বোরো ধানের আবাদ শুরু করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও পরামর্শ পেয়ে আমরা বীজতলায় চারা রোপণ করেছিলাম। এখন ওই চারা দিয়ে মাঠে চাষ করছি।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কপিল দেব বসাক বলেন, বোরো বীজতলায় সঠিক পরিমাণে সার ও সেচের প্রয়োজন। কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষা করতে অতিরিক্ত পানি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চারার বয়স ৪০ থেকে ৪৫ দিন হলে তা রোপণ করতে হবে।’
তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শিউলি মজুমদার ‘খুলনা গেজেটকে’ বলেন, এবারের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। কৃষকরা লাভের প্রত্যাশা করছেন। ধানের দাম বাজারে ভালো থাকায় কৃষকরা অধিক পরিমাণে বোরো ধান চাষে ঝুঁকছেন। কৃষকদের মাঝে যে হাইব্রিড জাতের বীজ বিতরণ করা হয়েছে, তা বেশি ফলন দেয় এবং আবহাওয়া সহিষ্ণু। এসব কারণে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন।
খুলনা গেজেট/এএজে