খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন দূতাবাসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
  ধর্মকে কেন্দ্র করে দেশে এমন উন্মাদনা দেখতে চাই না : মির্জা ফখরুল
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা

‘সঠিক এবং নির্ভুল প্রতিবেদন এসডিজি অর্জনে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকা তুলে ধরতে পারে’

নিজস্ব প্রতিবেদক 

ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী, মানসম্মত শিক্ষা এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজের মতো সাসটেইনেবল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়গুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমের উচিত ধর্মীয় বিশ্বাস ও উন্নয়নের সংযোগস্থলে আলোকপাত করা। রোববার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড ফেইথস ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগের সহযোগিতায় এসডিজি এজেন্ডায় ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা এবং ধর্মীয় বিবেচনার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য খুলনার একটি আবাসিক হোটেলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এসডিজি-১৬ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ অর্জনে সংবাদ মাধ্যমগুলি কীভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসের খবরগুলি আরও ভালভাবে কভার করতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

‘এসডিজি অর্জনে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকার বস্তুনিষ্ঠ কাভারেজ জোরদার করা’ শীর্ষক বাংলাদেশী সাংবাদিকদের জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় দ্বন্দ্ব-সংবেদনশীল সাংবাদিকতা এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের সর্বোত্তম অনুশীলনসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসডিজি ১৬ অর্জনের লক্ষ্যে একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পক্ষপাতিত্ব, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ভুল তথ্য প্রকাশিত না করার জন্য আলোকপাত করা হয়। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।

কর্মশালার মডারেটর ও সি-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল মাহমুদ বলেন, “সাংবাদিকদের উচিত একটি পুরো ঘটনার সুষম কভারেজ প্রদান করা এবং এসডিজিকে কেন্দ্র করে সংবাদটি সঠিকভাবে প্রতিবেদন করা।

সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা বলেন, শান্তি সাংবাদিকতা একটি দৃষ্টিভঙ্গি যা সংঘাতের উপর গুরুত্ব না দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তিনি আরও বলেন, ‘অহিংস প্রতিক্রিয়াকে কভার করতে হবে।

সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ সময়োপযোগী, নির্ভুল এবং কার্যকর তথ্যেপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য মিডিয়া এবং কৌশলগত যোগাযোগের বিষয়গুলি ব্যবহার করে, যা সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!