খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ ইকবাল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ ৪ ঘণ্টা পর জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে কয়রা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর আজ সন্ধ্যায় কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন তাকে জামিনে মুক্তি প্রদান করেন।
কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে শত শত জনতা আসরবাদ মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মেইন সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা পরিষদে যেয়ে অবস্থান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় সচিবকে পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই চেয়ারম্যান বেধড়ক মারধর করছেন এমন কথা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ওসি তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে আসেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস সচিবের কাছ থেকে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এমন লিখিত নিয়ে পরিবারের সাথে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আজ সোমবার সকালে কয়রা থানায় চেয়ারম্যানকেসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন সচিব ইকবাল হোসেন। মামলার পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো: রবিউল হোসেনের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে ওই চেয়ারম্যানের দেয়াড়স্থ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের ছবি তুলতে বাঁধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা পরে নিজ বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয় পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ টি আই