যশোরের দুই ব্যক্তিকে সচিবালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় যশোরের আদালতে এক নারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন শহরের কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার শামছুর রহমানের ছেলে মো. শাহীন (৩৫)। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা অভিযুক্তরা হল, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের বাবলু হাওলাদার (৪০), তার স্ত্রী শম্পা হাওলাদার (৩৫), কাকডাঙ্গা গ্রামের সাজেন সিকদারের ছেলে হাফিজুর সিকদার (৪০) ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের জয়নাল তালুকদারের ছেলে জনি তালুকদার (৩৫)।
মামলার বাদী মো. শাহীনের অভিযোগ, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার মৃত আমজাদ হোসেন সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার তার ভাগ্নিজামাই। ওই মামলার প্রধান আসামি শম্পা হাওলাদার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে নোবেল আহমেদ ও চৌগাছা উপজেলার বকশীপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে সাবলুর রহমানকে সচিবালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ভাগ্নিজামাই মামুন সিকদার। এ কথা বলে তার কাছ থেকে ২০১৯ সালের ১ জুন নয় লাখ টাকা গ্রহণ করেন। অপর আসামিরা উপস্থিত থেকে এ কাজে শম্পা হাওলাদারের পক্ষে সম্মতি প্রকাশ করেন।
বাদী মো. শাহীনের বাড়িতে বসে এই টাকা লেনদেন হয়। তবে শর্ত ছিলো, ৩ মাসের মধ্যে তাদেরকে চাকরি পাইয়ে দিবেন আসামি শম্পা হাওলাদার এরপর তিনি আরও তিন লাখ টাকা মামুন সিকদারের কাছ থেকে নিয়ে যাবেন। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী দু’জনকে চাকরি দিতে না পারায় মো. শাহীন ও তার ভাগ্নিজামাই মামুন সিকদার তাদেরকে চাপ সৃষ্টি করেন। এরই এক পর্যায়ে আসামিরা জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড দেন। কিন্তু বাদী সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড ভুয়া। ফলে আসামিদের বিষয়টি জানিয়ে তাদের কাছে নয় লাখ টাকা ফেরত দাবি করেন। কিন্তু তারা টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে আসামিদের বাদীর বাড়িতে ডেকে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। কিন্তু তারা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এছাড়া তারা হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। ফলে বাদী টাকা ফেরত পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেএম