আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, এতিমদের টাকা লোপাটের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপি যে আন্দোলন সমাবেশ করছে সেটা ‘বেজলেস’ (ভিত্তিহীন) ইস্যু। জনগণের মধ্যে তারা কোন আবেদন তৈরি করতে না পেরে ভিত্তিহীন সব ইস্যু নিয়ে সারাদেশে সমাবেশ করে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থে বিএনপি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ না করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির কোন রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। তাই বর্তমানে দেশ ও দেশের মেহনতি, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরের সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার দুপুরে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনা বিভাগের ৭টি জেলা যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যুবলীগের এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরস বলেন, যশোর স্টেডিয়ামে জনসমাবেশ সফল করতে হলে যুবলীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে।
প্রস্তুতি সভায় খুলনা বিভাগের সাত জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, বাগেরহাট ও খুলনা যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশের দিন নেতাকর্মীদের হলুদ রঙের ক্যাপ পরে যশোর স্টেডিয়ামে সকাল ১০টার মধ্যে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গতিশীল রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ একটি নতুন আকাঙ্খা, নতুন চেতনাকে ধারণ করার দল। আজকে দেশ বদলে গেছে, এই বদলে যাওয়ার পেছনের শক্তি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। মানুষ সকল সুযোগ সুবিধা পাবে, সুন্দর জীবন-যাপন করবে, উন্নত জীবন যাপন করবে, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, হানাহানি থাকবে না- আওয়ামী লীগ সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু প্রমুখ।
এরআগে, যুবলীগের প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে যশোরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল সহকারে সভাস্থলে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। এসময় স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রাঙ্গণ। এছাড়া যশোরে ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন। ফলে দেড় দশকের বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির যশোর জেলা যুবলীগ নেতাকর্মী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে।