খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা
  ৭ ব্যক্তিকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় যশোরে সাংবাদিক কেবলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, যশোর

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় যশোরে শহীদ সাংবাদিক শামসুর রহমান কেবল এর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকাল থেকেই নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে যশোরের সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।

শনিবার(১৬ জুলাই) সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাব যশোরের নেতৃত্বে সাংবাদিকরা কালো ব্যাচ ধারণ করে শহরের কারবালা কবরস্থানে উপস্থিত হন। এখানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এরপর শামছুর রহমান কেবলের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে প্রেসক্লাব যশোর, যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন পত্রিকা কর্তৃপক্ষ।

এরপর বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জজ আদালতের পিপি এম. ইদ্রিস আলী। প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপত্বিত্বে বক্তব্য রাখেন সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা , সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি এম.আইয়ুব , যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুজ্জমান।

সভায় বক্তারা বলেন, ২২ বছর ধরে আইন কর্মকর্তার পরিবর্তন হয়েছে, বিচারকের পরিবর্তন হয়েছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল হত্যা মামলাটি আলোর মুখ দেখিনি। বিচার হয়নি প্রকৃত আসামিদের । এ ব্যর্থতার দ্বায়ভার সবার। একটি অশুভ শক্তি এর নেপথ্যে রয়েছে।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান।

প্রেসক্লাব আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল শেষে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষথেকে আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে সাংবাদিক শামছুর রহমান খুন হওয়ার পর ২০০১ সালে সিআইডি পুলিশ এই মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ওই সময় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েক আসামির আগ্রহে মামলার বর্ধিত তদন্ত করে সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেনকে নতুন করে আসামি করা হয়। এরপর বর্ধিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর ২০০৫ সালের জুন মাসে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলার চার্জ গঠন করা হয়। ওই বছরের জুলাই মাসে বাদীর মতামত ছাড়াই মামলাটি খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে স্থানান্তর করা হয়। এ অবস্থায় মামলার বাদী শামছুর রহমানের সহধর্মিণী সেলিনা আকতার লাকি বিচারিক আদালত পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে আপিল করেন।

আপিল আবেদনে তিনি বলেন, মামলার অন্যতম আসামি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিরক পলাতক রয়েছে। হিরকসহ সংশ্লিষ্ট মামলার অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে খুলনার সন্ত্রাসীদের সখ্যতা রয়েছে। ফলে তার (বাদীর) পক্ষে খুলনায় গিয়ে সাক্ষ্য দেওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বাদীর এই আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মামলাটি কেন যশোরে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না- তার জন্য সরকারের ওপর রুল জারি করেন। এরপর মামলার আসামি ফারাজী আজমল হোসেন উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। সেই রিটের নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলার সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশের কারণে শামছুর রহমান হত্যা মামলার বিচারকাজ বন্ধ হয়ে আছে বলে জানান যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!